নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের দেবী গ্রামে ভূমি
সংক্রান্ত দুর্নীতির আরেকটি বেদনাদায়ক চিত্র সামনে এসেছে। মাত্র শতকখানেক
জমির কাগজ ঠিক করতে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা (নায়েব) ইউনুসকে
৪৪ হাজার টাকা ঘুষ দিয়েও প্রতিকার পাননি স্থানীয় বাসিন্দা ঘোড়ার গাড়ি
চালক ওসমান মিয়া।
ঘোড়ার গাড়ি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা এই মানুষটির জীবনের শেষ সম্বল ছিল
পৈতৃক ভিটেমাটি। সেই জমি নিয়ে কাগজপত্র ঠিক করাতে গত দুই মাস আগে ঘুষ দেন
ইউনুস নায়েবকে। কিন্তু টাকা নেওয়ার পরও কাজ সম্পন্ন না করে দিনের পর দিন
টালবাহানা করছেন তিনি। এ নিয়ে বারবার ধর্ণা দিয়েও কোনো ফল না পেয়ে এখন
চরম হতাশায় পড়েছেন ওসমানের বৃদ্ধা মা।
আমার আর কিছুই নাই। ওই ভিটে ছাড়া কিছু নাই। কাগজ ঠিক করতে ছেলেরে কইছিলাম
ইউনুস সাহেবরে যা দেওনের দিয়া দে। দিছি টাকা, এখন কিছুই করছে না। আমারে
মরতে হইব,”—কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন তিনি।
এই ঘটনাটি শুধু একটি নয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, ইউনুস নায়েব দীর্ঘদিন ধরে
ঘুষ বাণিজ্য, টালবাহানা এবং হয়রানির মাধ্যমে অসহায় মানুষদের কাছ থেকে
টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে জমি সংক্রান্ত কাজে ঘুষ
নেওয়ার অভিযোগে বহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলেও জানা গেছে।
ভূমি অফিসের এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত ও ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি
জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তারা বলেন, এভাবে আর চলতে পারে না।
একজন আলোচিত
সরকারি কর্মচারীর হাতে সাধারণ মানুষ কেন জিম্মি থাকবে?
এ বিষয়ে লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু রিয়াদ বলেন, ইউনুস
নায়েবের বিরুদ্ধে বেশ
কিছু অভিযোগ পেয়েছি।তদন্ত চলছে সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা
নিব।