ঢাকা | বঙ্গাব্দ

বজ্রপাত। ছবি : সংগৃহীত

  • নিউজ প্রকাশের তারিখ : Apr 21, 2025 ইং
বাড়ছে ডিড প্রকল্পের মেয়াদ সহায়তা বাড়াবে বিশ্বব্যাংক ছবির ক্যাপশন: বাড়ছে ডিড প্রকল্পের মেয়াদ সহায়তা বাড়াবে বিশ্বব্যাংক
ad728

বিভিন্ন স্টার্টআপ এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ ও সহায়তা করার জন্য ‘ডিজিটাল উদ্যোক্তা এবং উদ্ভাবন ইকোসিস্টেম উন্নয়ন প্রকল্প’ (ডিড) হাতে নেয় বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া উদ্যোক্তাদের বাজারে প্রবেশের হার বৃদ্ধি, জেন্ডার ইনক্লুসিভ এন্ট্রাপ্রেনারশিপ ইকোসিস্টেম তৈরির মাধ্যমে ডিজিটাল অর্থনীতির গতি বৃদ্ধি, স্টার্টআপ শিক্ষার্থী এবং গবেষকদের জন্য কমন ফ্যাসিলিটিজ তৈরির লক্ষ্যে নেওয়া হয়। ২০২১ সালে শুরু হওয়া প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সময় ধরা হয় চলতি বছরের ডিসেম্বর। তবে টেন্ডার সংক্রান্ত জটিলতা এবং ৫ আগস্ট-পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ধীরগতি দেখা দেয় প্রকল্পকাজে। এজন্য বাস্তবায়ন পুরোপুরি শেষ করতে মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

পাশাপাশি প্রকল্পের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক ইনোভেশন হাব বাড়ানোর সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনোভেশন হাব স্থাপন করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৫টির ইন্টেরিয়র কাজ শেষ হয়েছে। দুটির কাজ চলমান এবং একটি বিশ্ববিদ্যালয় হাবের ইন্টেরিয়র কাজের জন্য দরপত্র মূল্যায়ন চলছে। বাকি দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনোভেশন হাবের জন্য ড্রয়িং ডিজাইন ও বিওকিউ (বিল অব কোয়ান্টিটিজ, যার মধ্যে প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ, শ্রম এবং সরঞ্জামের বিস্তারিত তালিকা এবং আনুমানিক খরচ অন্তর্ভুক্ত) যাচাই-বাছাই চলছে। প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, এগুলো ছাড়াও আরও ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনোভেশন হাব নির্মাণের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

স্টার্টআপ এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণকেন্দ্রিক এ প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৯৮ কোটি টাকা এবং বিশ্বব্যাংক দেবে ২৫৫ কোটি টাকা। ২০২১ সালে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে এ সংক্রান্ত চুক্তি করা হয়। তবে দেশের বাজারে মার্কিন ডলারের দাম পরিবর্তনে বিশ্বব্যাংক প্রতিশ্রুত অর্থায়নে বাংলাদেশি টাকায় বেশ কিছু পরিবর্তন আসবে। এ ছাড়াও প্রকল্প বাস্তবায়নে আরও ৫০ লাখ ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সংস্থাটি।

প্রকল্পের অধীনে স্টার্টআপ ও স্কেলআপ কার্যক্রমের আওতায় এক হাজার ৫০টি স্টার্টআপ কোম্পানি বিকাশে সহায়তা করার পরিকল্পনা করা হয়। এতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৪০৫টি স্টার্টআপকে মেন্টরিং, পিসিং ও ব্র্যান্ডিংসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ২৭৪ জন শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, বিশ্বব্যাংকের অতিরিক্ত অর্থ সহায়তা অন্তর্ভুক্তি এবং নতুন উদ্যোগ সংযুক্ত করতে মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ লক্ষ্যে প্রকল্পটি সংশোধনও করা হচ্ছে।

প্রকল্প পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কালবেলাকে বলেন, এর আওতায় আরও ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনোভেশন হাব করার পরিকল্পনা আছে। এ ছাড়া স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের সহায়তায় বিশ্বব্যাংক আরও কিছু বাড়তি অর্থ দেবে বলেছে। এ সংক্রান্ত ডিপিপি সংশোধন করে ২০২৮ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব জমা দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, তা ছাড়া আমাদের স্টার্টআপ প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামও বাড়ানোর পরিকল্পনা করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনোভেশন হাবগুলোতেও পর্যায়ক্রমে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করা হবে। এভাবে প্রকল্পের ভলিউম বাড়ানো হবে।

এখন পর্যন্ত ডিড প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ৯১ কোটি টাকা। চলতি বছর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বরাদ্দ থেকে ব্যয় হয়েছে ১৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। এ ছাড়া প্রকল্পের চলতি অর্থবছরের বরাদ্দ সংশোধন করে ব্যয় কমানো হয়েছে প্রায় ৪৪ কোটি টাকা।


নিউজটি আপডেট করেছেন : জার্নাল ডেস্ক

কমেন্ট বক্স