ঢাকা | বঙ্গাব্দ

গাজাবাসীদের নিয়ে শাকিব খানের আবেগঘন স্ট্যাটাস

  • নিউজ প্রকাশের তারিখ : Apr 10, 2025 ইং
ঢালিউড চিত্রনায়ক শাকিব খান। ছবি : সংগৃহীত ছবির ক্যাপশন: ঢালিউড চিত্রনায়ক শাকিব খান। ছবি : সংগৃহীত
ad728

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলা চলছেই। একের পর এক বোমা বর্ষণে নির্বিচারে প্রাণ হারাচ্ছেন নিরপরাধ ফিলিস্তিনিরা। এই নৃশংসতার প্রতিবাদে ফিলিস্তিনের পক্ষে মুখ খুলেছেন ঢালিউড চিত্রনায়ক শাকিব খান।

রোববার (০৬ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে গাজাবাসীর পক্ষে একটি আবেগঘন স্ট্যাটাস দেন তিনি।

পোস্টে শাকিব খান লিখেছেন,

গা' জা শুধু একটি ভৌগোলিক নাম নয়, এটি যেন আজ নির্যাতিত মানুষের প্রতীক! দুঃখজনক হলেও বাস্তবতা হচ্ছে, সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করা ছাড়া আর কিছু করতে না পারা! তাদের পাশে আছি - ভালোবাসা, সংহতি, আর শান্তির প্রত্যাশায়।

এদিকে গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে সোমবার (৭ এপ্রিল) বিশ্বব্যাপী হরতাল পালনের আহ্বান জানিয়েছে নিপীড়িত গাজাবাসী। গণহত্যা বন্ধের জন্য বিশ্বের সব দেশে একযোগে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছে তারা।

গাজাবাসীর এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে রোববার (৬ এপ্রিল) অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। ইংরেজি অক্ষরে ছবিতে লেখা রয়েছে, ‘নো ওয়ার্ক নো স্কুল আনটিল জেনোসাইড স্টপ’ অর্থাৎ গণহত্যা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত কাজ ও স্কুল বন্ধ।

ছবির ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘হ্যাঁ, সংহতি জানাই। আগামীকাল ৭ এপ্রিল ইসরায়েলি দখলদারত্ব ও গণহত্যার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী ধর্মঘটে যোগ দিন।’

আজ বিশ্বব্যাপী হরতাল পালনে আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম।

রোববার ফেসবুকে নিজের পেজে এক পোস্টে এ তরুণ নেতা লিখেছেন, ‘মানুষ ও মুসলিম হিসেবে এসব (শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-অফিস-আদালত) বন্ধ রাখাতেই আমাদের দায়িত্ব সীমাবদ্ধ হওয়া উচিত নয় বরং দল-মতনির্বিশেষে সারা দেশের ছাত্র-জনতা একসঙ্গে রাজপথে নেমে ইসরায়েলি খুনিদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো উচিত। আমরা হয়তো এই মুহূর্তে আমাদের গাজার ভাই-বোনদের পাশে দাঁড়িয়ে লড়াই করতে পারব না। কিন্তু তাদের লড়াইয়ের সঙ্গে একত্মতা ঘোষণা করতে নিজ ভূমির রাজপথে অন্তত নামতে পারবে।’

তিনি বলেন, ‘এনসিপি, বিএনপি, জামায়াত বা কোনো (রাজনৈতিক) দলের ব্যানারে নয় বরং দল-মতনির্বিশেষে “বাংলাদেশ“ ব্যানারে আগামীকাল আমরা রাজপথে নেমে গাজার গণহত্যার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারি। খুনি, রক্তপিপাসু নেতানিয়াহুর বিপক্ষে স্লোগান দিতে পারি। প্রত্যেক জেলায় ছাত্রজনতার প্রতিনিধি হিসেবে কয়েকজন মিলে দায়িত্ব নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে এই কর্মসূচি পালিত হোক। ৭ এপ্রিল কোনো দল, মত, পক্ষের হয়ে নয় বরং বাংলাদেশের পক্ষ হতে গাজার মজলুম মানুষের পক্ষে হোক।’

একই আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবির শাখার সাবেক সভাপতি আবু সাদিক কায়েম।

ফেসবুকে নিজের পেজে তিনি লিখেছেন, ‘গাজার প্রতি বৈশ্বিক সংহতির অংশ হোন। আগামীকাল সোমবার, ৭ এপ্রিল “নো ওয়ার্ক, নো স্কুল”— এই কর্মসূচি সফল করুন।’

প্রসঙ্গত, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় বোমা হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। সর্বশেষ হামলায় দক্ষিণের খান ইউনিসে এক সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। উত্তরের গাজা সিটিতে দুই শিশুও নিহত হয়েছে। গাজার খান ইউনিসে এক ভবনে ইসরায়েলি বাহিনীর চালানো বোমা হামলায় কমপক্ষে আটজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

গত ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রতিদিন গড়ে ১০০ ফিলিস্তিনি শিশুকে হত্যা বা আহত করছে। এ সংখ্যা বিশ্বব্যাপী গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।


নিউজটি আপডেট করেছেন : জার্নাল ডেস্ক

কমেন্ট বক্স