প্রিন্ট এর তারিখঃ Oct 2, 2025 ইং || প্রকাশের তারিখঃ Jun 17, 2025 ইং
লোহাগড়ায় পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ, তদন্তে সেনাবাহিনী
মনির
খান স্টাফ রিপোর্টার:
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা (বিআরডিবি) মোহাম্মদ
কামরুজ্জামান মিয়ার বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ
উঠেছে। ব্যাচেলর হওয়া সত্ত্বেও তিনি দীর্ঘ চার বছর ধরে সরকারি ফ্যামিলি
কোয়ার্টারে অনুমতি ছাড়া বসবাস করছেন। এতে করে প্রায় ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা
পরিমাণ সরকারি ভাড়া ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু রিয়াদ বলেন, “অনুমতি ছাড়া
কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী সরকারি সম্পত্তি বা আবাসন ব্যবহার করতে
পারে না। যদি কেউ তা করে থাকে, তবে বিগত সময়ের সমস্ত ভাড়া পরিশোধ করতে হবে,
অন্যথায় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কামরুজ্জামান মিয়ার
বিষয়টি বর্তমানে সেনাবাহিনীর তদারকিতে রয়েছে।”
অভিযোগ রয়েছে, কামরুজ্জামান মিয়া বিতর্কিত এক নারী অফিস সহায়ক সাবিনা
ইয়াসমিনের সঙ্গে একই ভবনের নিচতলায় পাশাপাশি ফ্ল্যাটে বসবাস করছেন। এর আগে
ওই নারী কর্মচারীর বিরুদ্ধে একই ভবনে অন্য এক কর্মকর্তার সঙ্গে অনৈতিক
কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছিল, যা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক
প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
এ ছাড়া অফিস সহায়ক মোসা. রহিমা বেগম অভিযোগ করেন, “ঈদের আগের দিন বারবার
অনুরোধ করেও নিজের বকেয়া বেতন-ভাতা পাননি। কামরুজ্জামান মিয়া আমার অনুরোধ
উপেক্ষা করে গোপনে কর্মস্থল ত্যাগ করেন। আমি ১৭ বছর ধরে চাকরি করছি, কিন্তু
এই কর্মকর্তার সময়ে সবচেয়ে অবহেলিত বোধ করছি।”
মুঠোফোনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা কামরুজ্জামান
মিয়া বলেন, “আমি সরকারি একটি পরিত্যক্ত ভবনের নিচতলায় অনুমতি ছাড়াই
অপ্রাতিষ্ঠানিকভাবে থাকছি। রহিমা বেগমের বেতন নিয়ম অনুযায়ী হয়—যদি অফিসে
বরাদ্দ থাকে, তবেই বেতন হয়। এবছর বরাদ্দ কম থাকায় বেতন দিতে দেরি হয়েছে।
”
এছাড়া নিয়মিত অফিসে উপস্থিত না হওয়া, সহকর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার এবং
কর্তৃত্ব দেখিয়ে দাফতরিক কাজে বিঘ্ন ঘটানোর অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
স্থানীয়রা বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত ও যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে ঊর্ধ্বতন
কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
© সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ জার্নাল বাংলাদেশ