প্রিন্ট এর তারিখঃ Oct 2, 2025 ইং || প্রকাশের তারিখঃ Jun 26, 2025 ইং
সন্ধ্যা নামলেই লোহাগড়ায় রেলসড়কজুড়ে শুরু হয় মাদকের রাজত্ব সহ অসামাজিক কার্যক্রম
মনির
খান স্টাফ রিপোর্টার:
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা দিয়ে বয়ে যাওয়া রেলসড়কটি সন্ধ্যা নামার সঙ্গে
সঙ্গেই যেন রূপ নেয় মাদকের স্বর্গরাজ্যে। রেলসড়কটি চালু হওয়ার পর থেকেই এর
আশপাশের এলাকা পরিণত হয়েছে মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ীদের নিরাপদ আস্তানায়।
গত তিন-চার মাস ধরে অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত
পর্যন্ত এই সড়কে চলে আসছে মাদক দ্রব্য বেচাকেনা ও সেবন। লোহাগড়া থেকে শুরু
করে নড়াইল রেলস্টেশন পর্যন্ত বিস্তৃত এ এলাকায়—বিশেষ করে কালনা, কামঠানা,
মোচড়া ও নারান্দিয়া রেলস্টেশন অঞ্চলে—মাদকের খোলা মেলা বেঁচা কেনা চলছে
বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
স্থানীয়দের ভাষ্য মতে, এখানে প্রতিদিন রাতে-ইয়াবা, গাঁজা, ফেনসিডিলসহ
বিভিন্ন মাদক দ্রব্য বিক্রি হচ্ছে। তরুণদের অংশগ্রহণও আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে।
এলাকায় অচেনা মানুষের আনাগোনা বেড়েছে, যাঁরা সন্ধ্যার পর রেললাইনের পাশে
জড়ো হন মাদক কেনাবেচার সিন্ডিকেট।
এক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “প্রতিদিন সন্ধ্যার পর
রেললাইনের ধারে কিছু অচেনা লোকজন জড়ো হয়। মাদক নেওয়ার পর তরুণদের উৎপাত
বেড়ে যায়। অথচ এই বিষয়ে প্রশাসনের কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই।”
একাধিক সূত্র জানিয়েছে, কিছু প্রভাবশালী মহলের ছত্রচ্ছায়ায় এই মাদক দ্রব্য
সরবরাহ চক্র নির্দ্বিধায় চালিয়ে যাচ্ছে তাদের ব্যবসা। পুলিশের তৎপরতা কম
থাকায় দিন দিন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।
তবে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শরিফুল ইসলাম বলেন,
“জেলা জুড়ে মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে।
লোহাগড়ার রেললাইন এলাকায় নিয়মিত টহল দেওয়া হচ্ছে। মাদকের খবর পেলেই
তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালিয়ে মাদক সেবনকারী ও বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর
ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, “এই এলাকায় বসবাসরত নাগরিকদের সহযোগিতা পেলে আমরা আরও দ্রুত
ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারব।”
এদিকে নড়াইল জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের প্রতি এলাকাবাসীর
দাবি—রেললাইনজুড়ে মাদকের এই ভয়াবহ বিস্তার রোধে নিয়মিত অভিযান, গোয়েন্দা
নজরদারি এবং শক্ত অবস্থান নেওয়া হোক।
© সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ জার্নাল বাংলাদেশ