সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাভজনক বিনিয়োগের প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুই নাইজেরিয়ানসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তারা হলেন, ফ্র্যাঙ্ক কোকো (৩৬), ইমানুয়েল (৩৬) এবং বাংলাদেশি নারী মোসা. সুইটি আক্তার (২৭)।
গতকাল সোমবার (৭ জুলাই) রাতে কারওয়ান বাজারের র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জাহিদুল করিম এ তথ্য জানান।
এই র্যাব কর্মকর্তা আরও জানান, চক্রটি বাংলাদেশি নারীদের ব্যবহার করে এ প্রতারণার মাধ্যমে শতাধিক মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। গ্রেপ্তার সুইটি বাংলাদেশের কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে জানায় র্যাব।
তিনি আরও জানান, একজন বিত্তবান বিদেশি নাগরিকের ছদ্মবেশে ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের বিনিয়োগ, বিমানবন্দরের কার্গো সেকশনে ডলারের প্যাকেজ পাঠানো অথবা কাস্টম ক্লিয়ারেন্সে বিদেশ থেকে পাঠানো দামি পণ্য নিষ্পত্তি করার জন্য নির্ধারিত চার্জ দাবি করে প্রতারণা করে। ছবি, ছাড়পত্র ও সার্টিফিকেট জালিয়াতির মাধ্যমে এ কাজ করে তারা।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাহিদুল করিম জানান, গ্রেপ্তার নাইজেরিয়ান ফ্র্যাঙ্ক কোকো ও ইমানুয়েল ২ বছর ধরে এই প্রতারণা চালিয়ে আসছে। বাংলাদেশি নারী সুইটি আক্তার তিন মাসে আগে তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়। কোকো ২ বছর আগে র্যাব-১০ এর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে দুটি নগদ ও বিকাশ অ্যাকাউন্টে প্রায় ১৮ লাখ টাকার স্টেটমেন্ট পাওয়া গেছে। যেখানে এখনো অর্থ আসছে। এর পাশাপাশি তাদের আরও মোবাইল ব্যাংকিং সিম এবং অ্যাকাউন্ট রয়েছে যেগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।’
এর আগে গত রোববার রাত থেকে সোমবার দিনভর রাজধানীর বসুন্ধরা ও মিরপুরের পল্লবী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব-১। আসামিদের কাছ থেকে ২টি ল্যাপটপ, ৪টি আইফোন, ৩টি স্মার্ট মোবাইল ফোন, ৩টি বাটন মোবাইল ফোন, ১টি ট্যাব ও ১টি হার্ড ড্রাইভ জব্দ করা হয়।