ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি
ইনস্টিটিউটে এখন পর্যন্ত দগ্ধ অবস্থায় মোট ৫৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছিল। এদের
দুইজন শিক্ষার্থী ও একজন অফিস সহকারীসহ বার্ন ইনস্টিটিউটে ১৭ জন এবং ঢামেক
বার্ন ইউনিটে একজনসহ মোট ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে জাতীয় বার্ন
ইনস্টিটিউটে ৩৬ জন চিকিৎসাধীন আছেন।
আজ রোববার দুপুরের দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এই চিকিৎসক জানান, বর্তমানে ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আছেন ৩৬ জন। এর মধ্যে আইসিইউতে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে) আছেন ৪ জন, এমএইচডিইউতে (মেডিকেল হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট) ৪ জন, এফএইচডিইউতে (ফিমেল হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট) ৬ জন, পিওডাব্লিউ (পুরুষ ওয়ার্ড) -এ ৮ জন এবং কেবিনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৪ জন।
এ ছাড়া একজনকে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। এরই মধ্যে দুজনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ডা. শাওন বলেন, ‘আমাদের বার্ন ইনস্টিটিউটে এখন পর্যন্ত ৫৬ জন রোগী এসেছে। তাদের মধ্যে ১৭ জন বার্ন ইনস্টিটিউটে এবং একজন ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বর্তমানে ৩৬ জন ভর্তি রয়েছেন। একজনকে মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে এবং দুজনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।’
গত ২১ জুলাই দুপুরে উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৫ জন নিহতের তথ্য পাওয়া গেছে। নিহতদের অধিকাংশই মাইলস্টোনের শিক্ষার্থী।