প্রায় ২৩ বছর আগে রাজধানীর কামরাঙ্গীচর থানাধীন এলাকায় ৫০ হাজার টাকা যৌতুক
না দেওয়ায় গৃহবধূ ডালিয়া বেগম হত্যার দায়ে স্বামী টিটুকে মৃত্যুদণ্ড ১ লাখ
টাকার অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
কামরাঙ্গীরচর থানায় স্ত্রীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে হত্যার দায়ে স্বামী টিটুকে মৃত্যুদণ্ড ও ১ লাখ টাকার অর্থদণ্ড দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
আজ রোববার সকালে ঢাকা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সি মো. মশিয়ার রহমান এ রায় দেন।
মামলা সংক্ষিপ্ত বিবরণীতে জানা যায়, ২০০২ সালে ভুক্তভোগী ডালিয়া বেগমের পরিবারের কাছে তাঁর স্বামী টিটু ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করেন। কিন্তু তিনি তা পরিবারের কাছ থেকে এনে না দিতে পারায়, ক্ষুব্ধ হয়ে মারধর করে গায়ে কেরোসিন ঢেলে দিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। পরে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসারত অবস্থায় স্ত্রী ডালিয়ার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় মৃত্যুর আগে ভুক্তভোগী ডালিয়া জবানবন্দি দিয়ে যান এবং আরো ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. এরশাদ হোসেন জর্জ বলেন, ‘ডাক্তার ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ ১২ জন সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। সকল সাক্ষী ঘটনার সত্যতা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। সকল তথ্য-প্রমাণ বিচার বিশ্লেষণ করে মামলার প্রধান আসামিকে মৃত্যু দণ্ড দিয়েছেন। দুই ও তিন নম্বর আসামিকে খালিশ দিয়েছেন। আজকে যে রায় হয়েছে এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।’
মামলার দীর্ঘসূত্রতা নিয়ে আইনজীবী মো. এরশাদ হোসেন জর্জ বলেন, ‘আসলে বিভিন্ন সময়ে সাক্ষীদের আদালতে হাজির করা অনেক কঠিন হয়ে যায়। দেখা যায় অনেক সাক্ষী তাদের ঠিকানা বদলে যায়। যার ফলে তাদের বের করা অনেক সময় সাপেক্ষ হয়ে যায়। আমরা চেষ্টা করছি খুব দ্রুত সাক্ষীদের হাজির করে মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করার।’