চলতি বছরের মার্চে সুইস এয়ারলাইন্সের বিমানে ঘটে এ ভয়াবহ ঘটনা। আদালতে ওই ভারতীয় ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন।

তবে সুইজারল্যান্ডের আদালত তাকে মাত্র ১৮ মাসের কারাদণ্ড আর অর্থ জরিমানা করেছে। যেহেতু তিনি একটি নির্দিষ্ট সময় কারাগারে কাটিয়েছেন তাকে আর আটকে না রেখে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

আদালতের এ রায়ে এখন সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেকে এ ধরনের ঘটনায় আরও কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

সংবাদমাধ্যম বিজনেস টাইমস জানিয়েছে, ওই সুইস কিশোরী ও ভারতীয় ব্যবসায়ী বিমানের পাশাপাশি আসনে বসেন। তাদের মধ্যে কিছু কথাবার্তা হয়। এক পর্যায়ে কিশোরীটি ঘুমিয়ে পড়লে ভারতীয় ব্যবসায়ী তার শরীরে হাত দেয় এবং এক পর্যায়ে তাকে ধর্ষণ করে। কিশোরীটি এ ঘটনায় বাকরুদ্ধ হয়ে যায়। তার ওপর যখন ওই ভারতীয় নৃসংসতা চালাচ্ছিল তখন কিশোরীটি কিছু বলতে পারেনি।

এরপর সে কিছুটা সাহস নিয়ে কেবিন ক্রুকে ঘটনা সম্পর্কে জানায়। ঘটনা শুনে তাৎক্ষণিক অন্য আরেক আসনে নিয়ে যাওয়া হয় এবং ওই ব্যক্তিকে পুরো ফ্লাইটে নজরদারিতে রাখা হয়। বিমান যখন সুইজারল্যান্ডের জুরিখ বিমানবন্দরে অবতরণ করে তখনই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আদালতেকে এ ধর্ষক জানায়, সে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে এমন কাজ করেছে।

ভারতীয় এ ব্যবসায়ীকে পাঁচ বছরের জন্য সুইজারল্যান্ডে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। সঙ্গে অপ্রাপ্তবয়স্কদের যে কোনো ধরনের কার্যক্রম থেকে তাকে দূরে রাখতে বলা হয়েছে।

সূত্র: ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমস