কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, আমার বাড়িতে গতকাল রাতে হামলা করেছে। কারা করেছে আমরা জানি না। ১০ থেকে ১২ জন লোক ঢিল ছুড়েছে। আমি মামলা করব। কোটা বিরোধী ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পর আমরা এই স্বৈরাচারী মনোভাব আশা করিনি। আওয়ামী লীগ যদি স্বৈরশাসক হয় তাহলে আজকের কর্মকাণ্ড কি বলে অবহিত করব।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল শহরে কাদের সিদ্দিকী নিজ বাসভবন সোনার বাংলায় হামলা ও ভাঙচুরের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। এর আগে শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার বাসভনে হামলা হয়।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, দেশে হাসিনার সঙ্গে ২৬ বছর রাত-দিন সংগ্রাম করেছি। আওয়ামী লীগ আমাদের বহু প্রোগ্রাম করতে দেয়নি। তারপরেও যদি সবাইকে আওয়ামী লীগের দোসর বানানো হয়, তাহলে তো আমি মনে করব বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে ব্যর্থ ও ধ্বংস করার জন্য এটি কোনো ষড়যন্ত্র কি না?
তিনি আরও বলেন, আমার বাড়ি ভেঙেছে আরও ভাঙুক। বঙ্গবন্ধুর ৩২ নাম্বার বাড়িতে যখন গিয়েছিলাম, তখন আমার গাড়ি ভেঙেছিল। আরও ভেঙে যদি দেশে শান্তি স্থাপিত হয়, দেশের কল্যাণ হয় আমি সব সময় রাজি আছি।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমরা জীবনে দালাল ছিলাম না, দালালি করিনি। কিন্ত জয়বাংলা চলবে না, থাকবে না, তাহলে হোক বিচার। জয়বাংলা থাকবে কি না দেশের মানুষ সেটা বিচার করবে। আমার কাছে মনে হয় দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীরা সুযোগ খুঁজছে। সেই সুযোগ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দিচ্ছে কি না আমি ঠিক বলতে পারব না। আমার বাড়ি যদি নিরাপদ না থাকে তাহলে সাধারণ গরিব-দুঃখী মানুষের জন্য নিরাপদ কেমন করে হয়। আমি এই সরকারকে সরে আসতে বলব। সরকারের কাছে নিবেদন করছি, আমার বাড়ির ওপরে হামলার মধ্যে দিয়ে এই চোরাগুপ্ত হামলা বন্ধ করা হোক। দেশবাসীর কাছে নিবেদন আপনারা জাগ্রত হোন ও রুখে দাঁড়ান।
সংবাদ সম্মেলনে কাদের সিদ্দিকীর ছোট ভাই শামীম আল মনসুর আজাদ সিদ্দিকীসহ বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।