ঢাকা | বঙ্গাব্দ

কালিয়ায় পারিবারিক কলহের জেরে হত্যা, পুলিশের তৎপরতায় আসামি গ্রেফতার

  • নিউজ প্রকাশের তারিখ : Mar 28, 2025 ইং
কালিয়ায় পারিবারিক কলহের জেরে হত্যা, পুলিশের তৎপরতায় আসামি গ্রেফতার ছবির ক্যাপশন: কালিয়ায় পারিবারিক কলহের জেরে হত্যা, পুলিশের তৎপরতায় আসামি গ্রেফতার
ad728
মনির খান স্টাফ রিপোর্টার: নড়াইলের কালিয়া থানাধীন পেড়লী গ্রামে পারিবারিক কলহের জেরে ভিকটিম খাদিজা বেগম(২৬) হত্যা কান্ডের শিকার হয়। 

গত ২২/১২/২০২৪ ইং তারিখ রাতে আসামিরা ভিকটিমের স্বামী রমিজ শিকদারের বাড়ীতে গিয়ে জানায় খাদিজা বেগমের সাথে জুবেল শিকদারের বিয়ে হয়ে গেছে। খাদিজা বেগম'কে আমাদের কাছে দিয়ে দাও। তখন রমিজ শিকদার তার স্ত্রী খাদিজা বেগমকে তাদের সাথে দিতে না চাইলে উপস্থিত সকলের সাথে রমিজ শিকদার এর কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উক্ত বিষয় নিয়ে রমিজ শিকদার প্রতিবেশী লোকজন ডাকার জন্য বাহির হয়ে গেলে ভিকটিম খাদিজা বেগম'কে ১. জুবেল শিকদার(২৫), ২. জাহিদুল শিকদার(৩২), ৩. জহিরুল শিকদার(৪০), উভয় পিতা- বশার শিকদার, ৪. ময়না বেগম(৫৫), স্বামী- বশার শিকদার, ৫. মুসলিমা বেগম(৪৫), স্বামী- মইনুল ফকির, ৬. মিঠু ফকির(২৬), পিতা-মইনুল ফকির, উভয় গ্রাম- পেড়লী, থানা- কালিয়া ও জেলা-নড়াইল, আসামিরা জুবেল শিকদারের বাড়ীতে নিয়ে যায়। উক্ত বিষয় নিয়ে এলাকায় সমালোচনা শুরু হলে ২৩/১২/২০২৪ ইং তারিখ সকাল অনুমান ০৮ঃ০০ ঘটিকায় পেড়লী গ্রামস্থ আসামি জুবেল শিকদারের ঘরের মধ্যে ভিকটিম খাদিজা বেগমের সাথে আসামি জাহিদুল শিকদার সহ অন্যান্য আসামিদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আসামি জাহিদুল শিকদার ক্ষিপ্ত হয়ে তার কাঠের ঘরের দরজা আটকানো ডাসা/খিল দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ভিকিটিমের মাথা লক্ষ্য করে বাড়ি মারলে উক্ত বাড়ি মাথার ডান পাশের পিছনে লেগে মারাত্মক হাড়ভাঙ্গা রক্তাক্ত জখম হয়। তখন তার নাক, মুখ, কান দিয়ে অনবরত রক্ত বের হতে থাকে। ভিকটিম খাদিজা বেগম মাটিতে পড়ে মরণ যন্ত্রনায় গড়াগড়ি শুরু করলে অন্যান্য আসামিরা তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কিল, চড় লাথি, ঘুষি মেরে ফোলা জখম করে। একপর্যায়ে আমার কন্যা অজ্ঞান হয়ে পড়লে সকল আসামীরা ঘর থেকে বের হয়ে যায়। পরবর্তীতে আমার কন্যার জ্ঞান না ফেরায় আসামিরা উক্ত ঘটনাটি অন্য খাতে প্রবাহিত করার জন্য ভিকটিমকে একই দিন বেলা ১২ঃ৩০ ঘটিকায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। ঘটনার বিষয়ে রমিজ শিকদারের ভাগ্নি ঝুমি, মোবাইল ফোনে ভিকটিমের পিতাকে সংবাদ দিলে ভিকটিমের পিতা তাৎক্ষনিক তার পরিবারের লোকজন সহ অন্যান্য লোকজন নিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাই। ঘটনার পরদিন ভিকটিমের জ্ঞান ফিরলে আসামিদের কার্যকলাপের বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়। ভিকটিম খাদিজা বেগম চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৫/১২/২০২৪ তারিখ বেলা অনুমান ১১:৪৫ ঘটিকায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করে। এ ঘটনায় নিহতের পিতা মোঃ আব্দুল্লাহ মোল্যা বাদী হয়ে কালিয়া থানায় এজাহার দায়ের করলে মামলা রুজু হয়। মামলা রুজুর সাথে সাথে নড়াইল জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব কাজী এহসানুল কবীর মহোদয়ের নির্দেশনায় অত্র এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করা হয় এবং হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিদের গ্রেফতারের জন্য তৎপর হয় পুলিশ। কালিয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার কিশোর রায় এর নেতৃত্বে জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ জনাব মোঃ শাহাদারা খান (পিপিএম) এর তত্ত্বাবধানে গোয়েন্দা টিমের এসআই(নিঃ) গৌতম কুমার পাল সঙ্গীয় ফোর্সসহ ২৭ মার্চ 

(বৃহস্পতিবার) অত্র মামলার এজাহার নামীয় ৬ নং আসামি মিঠু ফকির(২৬), পিতা- মইনুল ফকির, গ্রাম- পেড়লী, থানা- কালিয়া, জেলা- নড়াইলকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। নড়াইল জেলার পুলিশ সুপার সময়োপযোগী ও সাহসী পদক্ষেপে অত্র এলাকার বর্তমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতার করতে জেলা পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : জার্নাল ডেস্ক

কমেন্ট বক্স