সমুদ্রের নোনা জল আর বালু-প্রবালের এমন মিতালি মনোরম সুরে বেজে ওঠে এই সৈকতে। অবিরাম আছড়ে পড়া ঢেউয়ের সঙ্গে বাতাসের মৃদুমন্দ কলতান তৈরি করে ভিন্ন এক নৈসর্গিক ব্যাঞ্জনা।
কখনো আবার অবাক বিস্ময়ে দৃষ্টিসীমায় ধরা দেয় নির্ভয় প্রাণ-প্রকৃতি। সিগ্ধ বিকেলগুলো এখানে উচ্ছল হয়ে ওঠে স্থানীয় শিশু-কিশোরদের কলকাকলিতে।
দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের এমন রূপ অনেকেরই অদেখা।
গেল ফেব্রুয়ারি থেকে পর্যটকদের যাতায়াত বন্ধ এই দারুচিনি দ্বীপে। এর আগে পরিবেশ রক্ষায় কেবল নভেম্বর থেকে জানুয়ারি এই তিন মাস সেন্ট মার্টিন যাওয়ার নিয়ম বেঁধে দেয় সরকার।
৮ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দ্বীপটির জনসংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। দ্বীপবাসির জীবিকার অনেকটাই পর্যটন ঘিরে। তাদের জন্য সময়টা তাই হতাশার।
স্থানীয়রা বলেন, আমার মূল ব্যবসা হচ্ছে ট্যুরিস্ট নিয়ে। ১২ মাসের মধ্যে আমরা ৫ মাস ব্যবসা করতে পারতাম। এতে করে পরবর্তী ৮ মাস আমরা টানা চলতে পারতাম।
বলা হয়েছিল, পর্যটননির্ভর দ্বীপবাসীর দুর্দশা লাঘবে করা হবে বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা। সেটি এখনো অনিশ্চিত।
আরেকজন বলেন, সৌন্দর্য্যের সেন্টমার্টিন যদি সুন্দর থাকে তাহলে এখানে অনেক ট্যুরিস্ট বাড়বে। ট্যুরিস্ট বাড়লে আমাদের ইনকাম ভালো হবে। সেন্টমার্টিনের অবস্থান মিয়ানমারের বিরোধপূর্ণ রাখাইন প্রদেশের কাছে। ভূ-অবস্থানগত দিক থেকেও দ্বীপটি গুরুত্বপূর্ণ। যার নিরাপত্তা নিশ্চিতে তাই বছরের ১২ মাসই তৎপর কোস্ট গার্ডের সদস্যরা।
প্রকৃতি রক্ষার সঙ্গে নিশ্চিত হবে জীবিকার সুরক্ষা। যৌক্তিক সিদ্ধান্তে সগৌরবে টিকে থাকবে অনিন্দ্যসুন্দর সেন্ট মার্টিন, স্থানীয়দের চাওয়া এতটুকুই।