ঢাকা | বঙ্গাব্দ

তারেক রহমানের নাম ভাঙিয়ে প্রতারণা, ভুয়া ব্যারিস্টার কারাগারে

  • নিউজ প্রকাশের তারিখ : Jul 3, 2025 ইং
  • শেয়ার করুনঃ
তারেক রহমানের নাম ভাঙিয়ে প্রতারণার অভিযোগে একজন গ্রেপ্তার।
ad728

যুবদলে পদ পেতে ইমরান হোসেন ও গোলাম রব্বানী নামের দুই ব্যক্তি যোগাযোগ করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চাচাতো ভাই পরিচয় দেওয়া ব্যারিস্টার শামিম রহমান (৩৩) নামের এক যুবকের সঙ্গে। তিনি একজনকে কেন্দ্রীয় যুবদলে এবং অপরজনকে জেলা যুবদলে পদ দেওয়ার কথা বলে তিন লাখ টাকা দাবি করেন।

বগুড়ার মমইন-রিসোর্টে বসে লেনদেন করা হয় ৫০ হাজার টাকা। এরপর যোগাযোগ বন্ধ করে দেন ব্যারিস্টার শামিম রহমান। পরে দুই যুবক খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন ব্যারিস্টার শামিম রহমান নামের ওই ব্যক্তি তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।

পরে তাঁরা বিষয়টি বগুড়া জেলা পুলিশকে জানান। আজ বৃহস্পতিবার সকালে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল রাজধানীর উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের মাটির মসজিদ এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

বগুড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) হুসাইন মোহাম্মদ রায়হান এক ব্রিফিংয়ে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তার শামিম রহমান বগুড়া শহরের নিশিন্দারা কারবালা এলাকার মৃত লাল মিয়ার ছেলে। তিনি এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করে লেখাপড়া বন্ধ করে দেন। বগুড়া শহরে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন তিনি। ৫ আগস্টের পর ঢাকায় বসবাস শুরু করেন।

নিজেকে তারেক রহমানের চাচাতো ভাই ব্যারিস্টার শামিম রহমান পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন জেলায় ফোন, ম্যাসেজ দিয়ে দলীয় নেতা-কর্মী এবং প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের ভালো পদ ও পোস্টিং এর কথা বলে টাকা আদায় করে আসছিলেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পেরেছে।

পুলিশ জানায়, বগুড়ার হারুন উর রশিদ নামের এক যুবকের সঙ্গে কয়েক মাস আগে ঢাকায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কথিত ব্যারিস্টার শামিম রহমানের পরিচয় হয়। তিনি নিজেকে তারেক রহমানের চাচাতো ভাই পরিচয় দেন। এরপর হারুন উর রশিদ তাঁর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ রাখতেন। গত ২২ জুন বিকেলে বগুড়ার মমইনে আসেন কথিত ব্যারিস্টার শামিম রহমান।

সেখানে হারুন উর রশিদ সঙ্গে যান যুবদলে পদপ্রত্যাশী ইমরান হোসেন ও গোলাম রব্বানী। সেখানে আলোচনার একপর্যায়ে ইমরান হোসেনকে কেন্দ্রীয় যুবদলে পদের জন্য দুই লাখ টাকা এবং গোলাম রব্বানীকে জেলা যুবদলে পদ দেওয়ার কথা বলে এক লাখ টাকা দাবি করেন। প্রথম পর্যায়ে দুজনে ৫০ হাজার টাকা শামিম রহমানকে দেন।

এর পর থেকে কথিত ব্যারিস্টার শামিম রহমান যোগাযোগ বন্ধ করে দিলে তাঁদের সন্দেহ হয়। পরে খোঁজ নিয়ে বুঝতে পারেন তাঁরা প্রতারণার শিকার হয়েছেন।

২ জুলাই হারুন উর রশিদ বগুড়া সদর থানায় এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। এর পরপরই পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় কথিত ব্যারিস্টার শামিম রহমানের অবস্থান শনাক্ত করে অভিযান শুরু করেন। আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে রাজধানীর উত্তরা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে বগুড়া নিয়ে আসা হয়। তাঁর হেফাজত থেকে পুলিশ বিভিন্ন কোম্পানির ১২টি সিম কার্ড, দুটি মোবাইল ফোন, বিভিন্ন ব্যাংকের চারটি এটিএম কার্ড ও বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি স্বাক্ষরিত ফাঁকা চেক উদ্ধার করা হয়। তাঁর নামে বগুড়া সদর থানায় প্রতারণা মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 


নিউজটি আপডেট করেছেন : জার্নাল ডেস্ক

কমেন্ট বক্স