জিও সুপার এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলমান ডব্লিউসিএল আসরকে ভারত-পাকিস্তান লড়াই হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছিল যা পিসিবির কাছে অস্বস্তির কারণ হয়। পিসিবির পরিচালনা পর্ষদের এক বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা শেষে বেসরকারি লিগগুলোতে দেশের নাম ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত হয়।
একটি ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে জিও সুপার জানায়,‘বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দ্বিতীয় আসরে ভারতীয় খেলোয়াড়রা পাকিস্তান লেজেন্ডস দলের বিপক্ষে খেলতে অস্বীকৃতি জানানোয় বোর্ডের কর্মকর্তারা তা দেশের মর্যাদার জন্য ক্ষতিকর মনে করছেন।’
পিসিবি আরও জানিয়েছে, ভবিষ্যতে কোনো বেসরকারি সংস্থাকে পাকিস্তানের নাম ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হবে না। তবে, চলমান ডব্লিউসিএল আসরের ফাইনালে পাকিস্তান লিজেন্ডস দলের সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলা চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, এর আগে জিম্বাবুয়ে,কেনিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন লো-প্রোফাইল লিগেও কিছু বেসরকারি সংস্থা পাকিস্তান নাম ব্যবহার করেছে যা বোর্ড গুরুত্ব সহকারে দেখছে।
পিসিবির এক ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে,‘সব বেসরকারি সংস্থাকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, তারা যদি পাকিস্তানের নাম ব্যবহার করে তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। ক্রিকেট সংক্রান্ত ইভেন্টে দেশের নাম ব্যবহারের একমাত্র অধিকার পিসিবির এবং তা নির্ভর করবে সংশ্লিষ্ট লিগ ও আয়োজক প্রতিষ্ঠানের গ্রহণযোগ্যতার ওপর।’
এছাড়া, পাকিস্তান সরকার এবং ইন্টার-প্রোভিনশিয়াল কো-অর্ডিনেশন (আইপিসি) কমিটি, যা দেশের ক্রীড়া তদারকি করে পিসিবিকে একটি উপদেশনামা প্রদান করেছে যাতে ভবিষ্যতে বেসরকারি লিগগুলোতে ‘পাকিস্তান’ নাম ব্যবহারের ওপর কঠোর নজরদারি রাখা হয়।