১৯৯২ সালে ‘দিওয়ানা’ সিনেমার মধ্য দিয়ে বলিউডে অভিষেক হয় শাহরুখ খানের। এরপর তিন দশকের বেশি সময় জুড়ে ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে’, ‘স্বদেশ’, ‘চক দে! ইন্ডিয়া’, ‘মাই নেম ইজ খান’-এর মতো দর্শকপ্রিয় ও সমালোচকদের প্রশংসিত বহু চলচ্চিত্রে তিনি অভিনয় করেন। কিন্তু এতদিন তার ঝুলিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার যোগ হয়নি। ২০০৪ সালে ‘স্বদেশ’ সিনেমায় একজন নাসা ইঞ্জিনিয়ারের ভূমিকায় অভিনয় করে ব্যাপক প্রশংসা পেলেও সে বছর পুরস্কার পান সাইফ আলী খান (‘হাম তুম’)। আবার ২০০৭ সালে ‘চক দে! ইন্ডিয়া’ সিনেমায় ভারতীয় নারী হকি দলের কোচ হিসেবে তার অসাধারণ অভিনয় মন ছুঁয়ে গেলেও পুরস্কারটি চলে যায় হৃতিক রোশনের হাতে (‘ধুম ২’)।
২০১০ সালে ‘মাই নেম ইজ খান’ সিনেমায় বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন চরিত্র রিজওয়ান খানের ভূমিকায় অভিনয় করে আন্তর্জাতিক প্রশংসা কুড়ান শাহরুখ। কিন্তু জাতীয় পুরস্কার সে বছরও পাননি—সেই গৌরব ছিনিয়ে নেন অমিতাভ বচ্চন ‘পা’ সিনেমায় একটি বিরল রোগে আক্রান্ত শিশুর চরিত্রে অভিনয় করে।
তবে অবশেষে ‘জওয়ান’-এ দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগের গল্পে শাহরুখের অভিনয় পেয়েছে তার প্রাপ্য সম্মান। শুধু জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার নয়, ইতোমধ্যেই শাহরুখ খান পেয়েছেন ভারতের ‘পদ্মশ্রী’ এবং ফ্রান্সের দুটি মর্যাদাপূর্ণ সম্মাননা—‘অর্ড্র দে আর্টস এ লেৎর’ এবং ‘লেজিওন দ’অনর’।তবে এই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনেকটাই আবেগঘন মুহূর্ত শাহরুখ ভক্তদের জন্য। কারণ দীর্ঘদিন ধরে তার ভক্তরা ও সমালোচকরা যে স্বীকৃতির অপেক্ষায় ছিলেন, সেটি এবার বাস্তব হলো।