সেলিম উদ্দিন বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানুষের মধ্যে ভাবান্তরের সৃষ্টি হয়েছে। মানুষ এখন বিকল্প শক্তির সন্ধান করছে। তারা এখন জামায়াতে ইসলামীকেই বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে। তিনি দাবি করেন, জামায়াত প্রাচীন, আদর্শবাদী, গণতান্ত্রিক ও দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে সবসময় মানুষের পাশে থেকেছে।
তিনি রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন প্রসঙ্গে বলেন, দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থেই দেশে প্রচলিত ভোট চুরি ও চাঁদাবাজীর রাজনীতির পরিবর্তন আনতে হবে। দেশের মানুষ সন্ত্রাস নির্ভর রাজনীতির ওপর রীতিমত বীতশ্রদ্ধ। তাই এ অশুভ বৃত্ত থেকে আমাদেরকে অবশ্যই বেড়িয়ে আসতে হবে। আর এজন্য জামায়াতকেই অগ্রসৈনিকের ভূমিকা পালন করতে হবে। কারণ, দেশের মানুষ জামায়াতকেই তাদের ভবিষ্যৎ মনে করছে।
এ সময় তিনি জনগণের আস্থা অর্জনে সকলকে ময়দানে ইতিবাচক ভূমিকা পালনের আহবান জানান।
জুলাই ঘোষণায় জনগণের প্রত্যাশা পুরোপুরি প্রতিফলিত হয়নি উল্লেখ করে সেলিম উদ্দিন বলেন, ইতিবাচক পরিবর্তন এনে জুলাই চেতনার পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে হবে। তিনি সতর্ক করে বলেন, দেশে নতুন করে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের উত্থান যেন না ঘটে।
তিনি বলেন, অনতিবিলম্বে জুলাই সনদ প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়ন করতে হবে। মনে রাখতে যেনতেভাবে শুধু একটা নির্বাচন করে ক্ষমতার পালাবদলের জন্যই জুলাই বিপ্লব হয়নি।
আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে রাষ্ট্রীয় সংস্কার, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ এবং গণহত্যার বিচার সম্পন্নের পর ভোট আয়োজনের দাবি জানান সেলিম উদ্দিন। অন্যথায় দায়সারা নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না বলেও তিনি সতর্ক করেন।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য হেমায়েত হোসাইন ও মহানগরী উত্তরের প্রচার-মিডিয়া সম্পাদক মু. আতাউর রহমান সরকার। সভাপতিত্ব করেন থানা আমীর ইউসুফ আলী মোল্লা।