সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘দু’দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় ও আঞ্চলিক বাণিজ্য বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সার্ক কীভাবে আরও গতিশীল করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে৷’
একাত্তর প্রসঙ্গে করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘একাত্তরের অমীমাংসিত ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়নি। এটি দু’দেশের রাষ্ট্রীয় আলোচনার বিষয়।’
এর আগে ইসহাক দারের সঙ্গে বৈঠক শেষে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারি সাংবাদিকদের জানান, একাত্তর ইস্যু সমাধানে পাকিস্তান প্রস্তুত আছে বলে আশ্বাস দিয়েছেন পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় দলটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ-পাকিস্তানের সম্পর্ক উন্নয়নের জায়গা রয়েছে। সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের আধিপত্যবাদ থাকবে না, এমনটাই প্রত্যাশা এনসিপির।’
দুই দিনের সফরে শনিবার ঢাকায় পৌঁছান ইসহাক দার। দুপুরে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়াম।
এ সফরের আগে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানান, ইসহাক দারের এ সফরে একাত্তরের গণহত্যার জন্য পাকিস্তানের আনুষ্ঠানিক ক্ষমা প্রার্থনা ও পাওনা আদায়ের বিষয়ে আলোচনা হবে।
ইসলামাবাদের সঙ্গে ঢাকা স্বাভাবিক সম্পর্ক রক্ষা করতে আগ্রহী বলেও জানান উপদেষ্টা। এ সফরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী।
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সম্পূর্ণ পরিসর এবং বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে বলে বিভিন্ন কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে।
ঢাকা-ইসলামাবাদের দুই দশকের শীতল সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে গত এপ্রিলে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালোচ ঢাকা সফর করেন। এর ধারাবাহিকতায় এবার সফরে আসছেন ইসহাক দার। তিন দশকেরও বেশি সময় পর প্রথমবারের মতো দ্বিপাক্ষিক সফরে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।