সোমবার (৭
এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে উপজেলার ব্রাহ্মনীকুন্ডা বাজারের একটি চায়ের দোকান
থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাকে
গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।
এর আগে গত ২৬ মার্চ সকাল ১১টার দিকে উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের আপ্তাব উদ্দিন
হাশিম গ্রামের এক প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠে তার
বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পীরগাছা থানায় ভুক্তভোগীর পরিবার থেকে মামলা দায়ের করা
হয়। ঘটনার পর থেকে আসামি পলাতক ছিলেন।আসামী মাহবুবার রহমান এক সময় বিভিন্ন
কোচিং সেন্টার, কিন্ডার গার্ডেন স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। তিনি একই গ্রামের
মৃত শমসের আলীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে ইতোপূর্বেও এরকম বেশ কয়েকটি অভিযোগ
রয়েছে বলে এলাকাবাসী জানান।ভূক্তভোগী শিশুটির মা জানান, তার মেয়ে
স্পষ্টভাবে কথা বলতে পারেনা। অনেকটা মানষিক প্রতিবন্ধী। মাহাবুবার রহমান
জমির আবাদ দেখাশোনার সুবাদে প্রতিনিয়ত শিশুটির বাড়ির পাশে আসা-যাওয়া করেন।
গত ২৬ মার্চ সকালে তিনি তার মেয়েকে বাসায় রেখে কাপড় ধুতে পার্শ্ববর্তী
পুকুরে যান। হঠাৎ মেয়ের চিৎকারে বাড়িতে ছুটে গিয়ে দেখেন তার মেয়েকে
মাহাবুবার রহমান ধর্ষণের চেষ্টা করছেন। ঘটনা দেখে তিনি চিৎকার দিয়ে
মানুষজনকে ডাকলে মাহবুবার ঘটনাস্থল হতে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।শিশুটির মা আরও
জানান, এর আগেও তার মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিলেন মাহবুবার। সে সময়
মান-সম্মানের ভয়ে ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিরা আপোষ-মিমাংসা করে দেয়ায়
তারা আইনগতভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। তবে এবার তিনি আসামীর দৃষ্টান্তমূলক
শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে
আলম সিদ্দিকী বলেন, আসামী মাহবুবার রহমানকে তারা গ্রেপ্তারের চেষ্টা
চালিয়েছেন।
এরই মধ্যে সোমবার রাতে স্থানীয়রা তাকে আটক করে খবর দিলে পুলিশ
তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় আসে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাকে আজ মঙ্গলবার
সকালে তাকে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।